
শিনজো আবে এবং তার দুঃখজনক মৃত্যু
মানুষ বসবাস যোগ্য পৃথিবীতে আমরা বসবাস করছি তো? জাপানের মতো শান্তিপ্রিয় একটি দেশে এই রকম একটা ঘটনা সত্যিই আমি হতস্তম্ভিত। কোনো একটি দেশ শান্তিতে নেই। কিছুদিন আগে আমেরিকায় স্বাধীনতা দিবসের দিন হামলা, স্কুলে প্রবেশ করে হামলা। আর এইসব হামলাকারী অধিকাংশেই তরুণ যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ এর মধ্যেই। বর্তমানে তরুণ সমাজের মধ্যে এইরকম একটা মনোভাব সত্যিই চিন্তার বিষয়।
আমাদের দেশে কিশোর গ্যাং টাও একটা দুশ্চিন্তার নাম। যারা নিজেদের কে জেমস বন্ড ভেবে একশন করে। তারা অধিকাংশই কোনো নেতা বা স্থানীয় প্রশাসনের চ্যালা চামচা। এই চ্যালা চামচা গুলো কখনো তাদের গাল ফ্রেন্ডের সামনে হিরো সাজতে গিয়ে স্যারদের উপর হামলা করতে ও দিদ্বা করে না। আর সেই হামলায় ওই ব্যক্তিটা কি আহত কি নিহত হলো সেটায় তাদের কিছু যায় আসে না। যদি ঘটনা বেশি ভাইরাল হয়ে যায় তখন দুই তিন মাস জেল খেটে শুদ্ধ হয়ে এসে আবার অশুদ্ধ হয়ে যায়।
আর বাইরের দেশের তরুণেরা ত আবার স্বাধীন। তাদের মন যা চায় তাই করে। তাদের না আছে ধর্মীয় বিধিনিষেধ না আছে সামাজিক বারন। তাই ত জাপানের ওই তরুণ যে শিনজো আবে এর উপর হামলা করেছিল। তার ভাষ্যমতে তার শিনজো আবের কোন একটা ব্যাপার হয়তো ভালো লাগে নি। তাই সে শিনজো আবের উপর হামলা করেছিল। হামলা কি হামলা গুলি করে মেরেই ফেলেছে। এই যে একটা ডোন্ট কেয়ার মনোভাব নিয়ে তরুণদের চলাফেরা তা সমাজের জন্য একটা অশনী সংকেত। আর এখানে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে এদের নিয়ন্ত্রন করা যাবে না। এদের ভেতর সঠিক ধর্মীয় মূল্যবোধে জাগ্রত করতে হবে। আসলে ধর্ম এই ব্যাপার গুলোতে কি বিধান দিয়েছে সেটা তাদের কে বুজাতে হবে। কারন অধিকাংশই এই কাজ গুলো যারা করে তারা জ্ঞান – বুদ্ধিহীন। আমাদের দেশ গুলোর মতো দেশে বেশিরভাগই ব্রেন ওয়াশ হওয়া তরুণ গুলোই কোনো কিছু না ভেবে এই বির্তকিত হামলা গুলো করে।
যত যাই হোক দিনশেষে এই ঘটনা গুলো ঘটে যাওয়ার পর গভীর শোক প্রকাশ করা ছাড়া আর কোনো কিছু করার থাকে না।
শুধু একটাই কথা সৃষ্টি কর্তা এদের জ্ঞান দাও।