
ফেসবুকে অকারণে “হাহা” রিঅ্যাক্ট দেয়া লোকজনের সংখ্যা নেহায়েত কম না বিশেষ করে বাংলাদেশে। অশিক্ষিত একটা জনগোষ্ঠী যাদের শতকরা ৯৯% ভাগই জামাত-বিএনপি-হেফাজতের অনলাইন সাপোর্টার, তাদের এই কাজটা করতে দেখা যায় অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়া যত্র তত্র “হাহা” রিঅ্যাক্ট দেয়া। কারো মৃত্যুসংবাদ হতে শুরু করে হেল্প পোস্ট – সব জায়গাতেই এইসব হাহা রোগীদের ভর করতে দেখা যায়।
কেন এই অকারণ “হাহা” রিঅ্যাক্ট তা নিয়ে বিস্তর চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল একদল সামাজিক বিজ্ঞানী। তাদের প্রাইমারী গবেষণায় প্রথমে বের হয়েছিল রোগটা মানসিক। কিন্তু পরে আরও গভীর অনুসন্ধানের পর বের হয়ে আসল সমস্যাটা রক্তের-জন্মের। অর্থাৎ সামাজিক নেটওয়ার্কে যারা অকারণে হাহা রিওয়াক্ট দেয় তাদের জন্মে ত্রুটি আছে।
কি ধরনের জন্ম ত্রুটি ঃ
বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন যাদের এই সমস্যাটা আছে তাদের জিনে একটি বিশেষ উপাদান পাওয়া গেছে যা কুকুর এবং শুয়োরের মধ্যে দেখা যায়। অর্থাৎ তাদের শরীরে কুকুর / শুয়োরের রক্ত বয়ে বেড়াচ্ছে। এটা কিভাবে সম্ভব তা জিজ্ঞেস করলে বিজ্ঞানীরা বলেন – অনেক সময় কুকুর আর মানুষের মিলনে বা কুকুর আর শুয়োরের মিলনে কারও জন্ম হলে রক্তে অবশ্যই তাদের চিহ্ন থেকে যাবে।
এই জন্ম সমস্যা কিভাবে সারানো যাবে?
বিজ্ঞানীরা বলেছেন – যা হবার তা হয়ে গেছে অর্থাৎ কুকুর অথবা শুয়োরের সাথে মানুষের মিলনে যাদের জন্ম ইতিমধ্যে হয়ে গেছে তাদের ব্যাপারে আর কিছু করার নেই – তাদেরকে সমাজের আবর্জনা হিসেবে স্বীকৃত দিয়ে কিছু ময়লার ডিপো তাদের জন্য উতসর্গ করে দিলেই হবে। ওখানে গিয়ে পড়ে থাকবে কিন্তু ভবিষ্যতে যেন এরকম না হয় তাই মানুষ যেন কুকুর আর শুয়োরের সাথে কোন ধরনের মিলনে লিপ্ত না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যাপারে তারা হেফাজতের মামুনুল হকের উদাহরণ টেনে বলেন – “খেয়াল করবেন এদের অনেকেরই চেহারা পায়ুনুলের মত কিন্তু পায়ুনুলকে জেলে ঢুকানোর পর থেকে এদের জন্মের হার অনেক কমে গেছে” ।
তথ্যসূত্রঃ স্কুল অফ গান্ডু স্টাডিজ, এমআইটিটি