
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ইতিবৃত্ত!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের বহুদিন পর স্বাধীন বাঙালি জাতিকে শাসন ও শোষণ করার উদ্দেশ্যে বিএনপি ও জাতীয়পার্টি নামে দুটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করেন দুজন স্বৈরশাসক। মূলত ১৯৭৫ সালের ভয়াল ১৫ আগস্ট এদেশীয় ও আন্তর্জাতিক আমেরিকা ও পাকিস্তানের চক্রান্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তিকালে দুই স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের হাতে তৈরি হয়েছিলো রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের অভয়ারণ্য বিএনপি ও জাতীয়পার্টি। এছাড়াও, বিএনপির প্রতীষ্ঠাতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তায় পুনরায় সক্রিয় হয় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে এক হয়ে বাঙালি জাতির উপর গণহত্যা পরিচালনাকারী কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের সংগঠন জামায়াত ও শিবির(পূর্বের নাম ইসলামি ছাত্র সংঘ)। তিনটি দলই সুদীর্ঘকাল নানা ছলচাতুরি খুন রাহাজানি করে একাধিক টার্মে এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ করেছে। তারা হাওয়া ভবন ও খোয়াবভবনে ক্ষমতার মধুবিলাসে এতটাই নিমজ্জিত ছিলো যে দেশ ও জাতির বৃহত্তর কল্যাণে তারা উল্লেখযোগ্য কোন অবদান রাখেনি, কিংবা; রাখতে পারেনি ।
বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয়পার্টি এই তিন দল তাদের নেতাকর্মীদের লুটপাট অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য দলীয়ভাবে টিভি চ্যানেল, পেপার পত্রিকা প্রতীষ্ঠা করেছে। জনগণের টাকা লোপাট করে বিদেশে পাচারের জন্য বিএনপি জামায়াতের রয়েছে একাধিক ব্যাংক ও বীমা কোম্পানি । অথচ আওয়ামীলীগের এসবের কিছুই নেই।
কারন, আওয়ামীলীগ হলো পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্তিকামী বাঙালি জাতির প্রাণের উচ্ছ্বাস ও নদনদী বিধৌত উর্বর পলিমাটির নির্যাস থেকে গড়ে ওঠা গণমানুষের রাজনৈতিক দল । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, এনটিভিসহ বিএনপি-জামায়াতের একাধিক দলীয় টিভি চ্যানেল রয়েছে। যমুনা টিভিসহ জাতীয় পার্টিরও রয়েছে একাধিক টিভি চ্যানেল। প্রকৃতপক্ষে বিদেশি দূতাবাস, ইউরোপ আমেরিকার প্রভু, পেপার পত্রিকা কিংবা দলীয় কোন টিভি চ্যানেল নয়, ব্যাংক বীমা কোম্পানি নয়, বরং; বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ-ই বাংলাদেশ আওমীলীগের একমাত্র শক্তি।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই থেকে তাঁর অমর উক্তি দিয়ে শেষ করছি,
‘যারা অত্যাচার করে তারা কিন্তু নিজ স্বার্থ বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্যই করে থাকে। সকলেই তো জানে একদিন মরতে হবে। তবুও মানুষ অন্ধ হয়ে যায় স্বার্থের জন্য। হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। পরের ছেলেকে যখন হত্যা করে, নিজের ছেলের কথাটি মনে পড়ে না। মানুষ স্বার্থের জন্য অন্ধ হয়ে যায়।’
#জয়বাংলা 🇧🇩 #জয়বঙ্গবন্ধু

সাংগঠনিক সম্পাদক,
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।