নুরুল আজিম রনি – এই নাম শুনলেই ছাগু-গান্ডুদের ঘুমের অনেক সমস্যা হয় – ভদ্র ভাষায় বলতে গেলে জামাত-বিম্পির অনেক বেশী সমস্যা হয়। কেন?
এর কারণ লিডারশিপ কোয়ালিটি।
পদে থাকুক আর নাই থাকুক – কিভাবে একটা তরুণ জেনারেশনকে লিড করতে হয়, কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার রক্ষা করতে হয় আর কিভাবে দেশ-বিরোধীদের কড়া জবাব দিতে হয় – এটা এই রনিরা জানে।
লিডারশিপ একটা কোয়ালিটি। আর এই গুন সবার মধ্যে থাকে না আবার ঘুমের মধ্যেও আসে না। মাঠে থেকে, রোঁদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, বিরোধীদের আঘাত সহ্য করে বা ছদ্মবেশী বন্ধুদের কাছ থেক পিঠে ছোরা খেয়ে শিখতে হয়। আমি- আপনি – যারা অতি সাধারণ মানুষ, তারা এগুলো কোনদিন বুঝবে না। আমরা রেডিমেটে বিশ্বাসী ইদানীং।
কিন্তু এই রনিরা রেডিমেডে বিশ্বাসী না। যদি হতো চট্টগ্রামের লক্ষ লক্ষ তরুণ বা ছাত্রসমাজের আইডল হতে পারত না। ফুটো পকেট নিয়ে শুধু দলের জন্য, দেশের জন্য আর মানুষের জন্য এদিক-ওদিক দৌড়াতে হতো না।
মহামারীকালে দেখেছি, যখন এলিটরা নাকেমুখে কাপড় দিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে বসে ফেসবুক দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছিল, তখন রি রনি ভাই রোগী নিয়ে এদিকওদিক দৌড়াচ্ছিল। নিজেরাই একটা চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে বসে বিনামূল্যে সেবা দেয়ার জন্য। টাকা নাই পকেটে কিন্তু তাও করতে হবে কারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আজ এর কাছ থেকে, কাল তার কাছ থেকে লোণ নিয়ে, সাহায্য নিয়ে মানুষের সেবা। নিজে গিয়েই দেখে এসেছিলাম। ইউটিউবে ভিডিও আছে – দেখে নিয়েন।
চট্টগ্রাম কলেজ – মহসীন কলেজ – যেগুলো রগকাটা শিবিরের আস্তানা ছিল, তাঁদের খেদিয়ে পরিষ্কার করার পুরো ক্রেডিটই এই রনি ভাইয়ের।
চট্টগ্রামের সাধারণ নাগরিকদের, অভিভাবকদের অধিকার আদায়ের কেন্দ্রে থাকেন এই রনি ভাই – সবসময় দেখি। আগে দল, মানুষ এরপর ক্যারিয়ার – যেটা নেই বললেই চলে। কারণ সত্যিকারের রাজনীতি করলে ব্যক্তিগত কোন ক্যারিয়ার থাকে না।
রনি ভাইকে একবার বলেছিলাম – “ভাই আপনি কোনদিন এমপি-মিনিস্টার হলে আমি সবার আগে নাচব” – তখন রনি ভাই বলেছিল – “নাহ, আমার মিনিস্টার হবার শখ নাই, এমপিও না। আমি করতে চাই সংগঠনের রাজনীতি। কারণ এই রাজনীতিটাই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটা ক্ষেত্রে তৈরী করবে বাংলাদেশে – স্বাধীনতার পক্ষের চেতনাকে আরও মজবুৎ করবে”।
আমি মাঝে মধ্যে চিন্তা করতাম, রনি ভাইয়ের মত এরকম ডেডইকেটেড একটা মানুষ কোন লিড পোস্টে নাই কেন? এত মানুষের সাপোর্ট যার সাথে, সে কেন কোন ধরনের লিডারশীপে থাকবে না। কিন্তু যা বুঝতে পারি তা হলো – কখন এই পক্ষ, কখনওঁ ওই পক্ষ – কত যে পক্ষ আছে শুধু চেষ্টা করে যায় রনি ভাই যেন উঠতে না পারে। কিন্তু রনিরা যদি নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ না পায়, তবে কাদের উপকার বেশী হবে? — এটার উত্তর জানতে বেশী ভাবতে হয় না – দেশ-বিরোধীরাই সবচেয়ে বেশী উপকৃত হবে। কারণ দেশ বিরোধী-জামাত-শিবির – এদের সবার একটাই ভয় – আর সেটা হলো – রনিদের মত লায়ন হার্টেড – গোল্ড হার্টেড রিয়েল মানুষরা যদি লিড করে তবে বিশাল সমস্যা কারণ রনিদের কখনও বাঁকানো যায় না কোন কিছু দিয়ে হোক সেটা হুমকি-ধামকি-জান বা মালের ভয়।
আমি রাজনীতির অতকিছু বুঝি না আর নিতান্তই সাধারণ মানুষ – নগণ্য। কিন্তু যদি আমার কানেকশন থাকত বা কিছু থাকত তাহলে আমি আওয়ামীলীগের যত নীতি নির্ধারক আছেন সবাইকে সারাদিন ফোন করে করে একটা কথাই বলতাম – “দুনিয়া উল্টে গেলেও রনি ভাইকে যেন নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ দেয়া হয় – বিশেষ করে চট্টগ্রামে” । কিন্তু মরা কপাল আমার – ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে কোন ভিআইপি নাই যে ফোন ধরবে আমার। তাই খোলা জায়গায় লিখলাম।
শুনেছি সামনে চট্টগ্রামের যুবলীগের কমিটি হবে – এবং তখন অনেক কিছুই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে চট্টগ্রামের যুবলীগের হাল কে ধরবে। চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি – রনি ভাই ছাড়া আর কেউ পসিবল হওয়াও উচিৎ না। তরুণ প্রজন্ম রনিদের মত লিডারশীপ চায়। আর কাউকে না। এমনকি আমার মত নগণ্য মানুষরাও চায়, লিডারশীপে রনি ভাইদের মত কেউ থাকুক।
এখন নীতি নির্ধারকরা কাকে নির্বাচন করবেন সেটা আসলেই উনাদের ব্যাপার। আমার মত নো-বডি এই ব্যাপারে কমেন্ট করার যোগ্যতা রাখে না। তবে নিশ্চিত জানি – এবার রনি ভাই যদি চট্টগ্রামের যুবলীগের নেতৃত্বে না আসেন তাহলে চট্টগ্রাম একেবারে চুপসে যাবে – বিশেষ করে চট্টগ্রামের তরুণ প্রজন্ম এবং একই সাথে জামাত-শিবির মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সামনে নির্বাচন। আর নির্বাচনে দরকার বোল্ড লিডারশীপ। আর সেটা রনি ভাইয়ের কাছ থেকে আশা করা যাবে শুধু। বাকিদের কথা তেমন জানি না। সবাই তো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থাকে। একমাত্র রনি ভাইকেই দেখলাম – আমাদের মত সাধারণ মানুষদের আশেপাশে দাঁড়াতে, ২/৪টা কথা শেয়ার করতে…… and trust me, its a big thing.