ব্যক্তিগত রোজগার না থাকলেও লন্ডনে পরিবার নিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এদের (বিএনপি)ভাইস চেয়ারম্যান খাম্বাস্টার খ্যাত তারেক জিয়া ওরফে খাম্বা তারেক ।
প্রতিমাসে খরচ করেন লাখ লাখ টাকা। ব্যবহার করেন একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। বাজার করেন লন্ডনের অভিজাত বিপণি বিতানে। বসবাস করেন লন্ডনের ব্যয় বহুল অভিজাত এলাকায়। লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করে সাজা মাথায় নিয়ে বসবাস করেই বিএনপি দলটি চালান তারেক জিয়া
ওরফে খাম্বা তারেক ।
এমন বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে দেশে, বিদেশে এবং দলের ভেতরে-বাইরে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রশ্ন উঠেছে, তারেক জিয়ার বিলাসী জীবনের অর্থ কোথা থেকে আসে?
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রদের দুর্নীতির খোঁজ বের করেছে আমেরিকা আর সিঙ্গাপুর। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, তারেক জিয়ার লন্ডনে এমন বিলাসী জীবন যাপনে ব্যয় হওয়া টাকার অধিকাংশ অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে পাচার করা হয় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থা। এ জন্য তারেক রহমানের যাবতীয় সম্পদ, আয় ও ব্যয় হওয়া অর্থের উৎস সম্পর্কে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সম্পদের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের একজন সহকারী পরিচালক। দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্তে অনেক বিষয়ের সত্যতা মিলেছে। তবে সেই সব বিষয় কি কি- তদন্তের স্বার্থে তা তিনি প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ
বিনা রোজগারে তারেক রহমানের বিলাসী জীবন যাপন করার বিষয়টি বিস্ময়কর। আলোচনা-সমালোচনায় বিষয়টি শুধু বাংলাদেশ নয়, খোদ যুক্তরাজ্যসহ বিদেশের সীমানায়ও স্থান করে নিয়েছে। তারেক জিয়ার বিলাসী জীবন যাপনের জন্য ব্যয় হওয়া অর্থ কিভাবে, কোথা থেকে আসছে তা নিয়ে খোদ যুক্তরাজ্যেও ব্যাপক গুঞ্জন আছে। যুক্তরাজ্য সরকার, দেশটির একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও বিষয়টির তদন্ত করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যে অনেকটা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ান তারেক রহমান। প্রকাশ্যে ঘোরাফেরার কারণেই তারেক জিয়ার বিলাসী জীবনযাপন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। শুধু যে মানুষের মুখে মুখে তাই নয়, রীতিমত গণমাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপনের নানা কাহিনী। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় সাপ্তাহিক জনমত ম্যাগাজিনের ৪৬ সংখ্যায় প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপন সম্পর্কে নানা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মোট ২৫ মামলা ঝুলছে।
২০০৭ সালে এসব মামলা দায়ের হয়। তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে ১৪ মামলা আছে। এরমধ্যে ২০০৯ সালে একটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমানে তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা ঝুলছে। ফেরার হয়েও তারেক রহমান লন্ডনে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। এর মধ্যে চারটি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। বাকি অর্ধডজনের বেশি মামলা চলমান আছে। যার মধ্যে ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলেও তা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
লন্ডনে পালিয়ে থাকা তারেক জিয়াকে পলাতক দেখিয়েই শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় একুশে গ্রেনেড হামলার মামলাটির এই রায় দিয়েছে ঢাকার দ্রæতবিচার ট্রাইব্যুনাল। তাতে তারেকের সাজা হয়েছে যাবজ্জীবন। এর আগে আরও দুইটি মামলার একটিতে সাত বছর ও অন্যটিতে দশ বছর সাজা দেয়া হয়েছে তাকে। তবে সব সাজা একসঙ্গে কার্যকরের উল্লেখ থাকায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে যাবজ্জীবন সাজাই খাটতে হবে। পলাতক হওয়ায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীলের সুযোগও পাচ্ছেন না তিনি।
সুত্রঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংগ্রামী দল ফেইসবুক পেইজ