
৭১ এর পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশ ও দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়া ই তাদের মূল উদ্দেশ্য। আমার এই পোষ্ট টি বঙ্গবন্ধুর সকল আদর্শের সৈনিক কে দয়া করে একটু ধৈর্য সহকারে পড়ুন। যাতে বিএনপি জামায়াতের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ কে যথাসময়ে যথাযথ উত্তর দিয়ে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করি।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমার বিশ্লেষণ!
—————————————————————————————-
১৯৭১ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসন থেকে দীর্ঘ ০৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে এবং আড়াই লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজকের এই লাল সবুজের বাংলাদেশ।
বর্তমান প্রজন্মের যারা এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে সভা সমাবেশ, মিটিং মিছিল করে নিজ নিজ দলের পক্ষে প্রচার প্রচারনা করে যাচ্ছেন তাদের অনেকেই মুক্তি যুদ্ধের আসল কাহিনী জানে না। বেশির ভাগ ছেলে মেয়েরা ফেইসবুক, ইউটিউব ইত্যাদির মাধ্যমে যতটুকু পাচ্ছে ও দেখছে ঠিক ততটুকু ই জানতে পারছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বর্তমান এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে এডিট করে ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন উপায়ে কিছুটা আকর্ষণীয় ভাবে পক্ষপাতিত্ব কন্টেন্ট যোগ করে চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই সব বানানো ভিডিও গুলোর মধ্যে ৮০% গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষ কে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া ই তাদের মূল লক্ষ্য। দেশ ছাড়া ও বিদেশের মাটিতে বসে বাঙালি হয়ে ও নিজের মাতৃভূমিকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে আজেবাজে মিথ্যাচারের মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে, এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজাকার ফ্যামিলির অনেক লোক যে গুলো বাংলাদেশের আদালতে বিভিন্ন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তারা বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে টকশো নামে রাতদিন বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে।
এখন ফেসবুক, ইউটিউব, ইত্যাদি খুললেই দেখবেন শুধু এই ধরনের ভিডিওতে ভরা। আমি জানি না বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই সব যেমন ইচ্ছে তেমন ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি না। এই সব গুজব ছড়ানো সাইবার সন্ত্রাসীদের সময় মতো রুখে দিতে না পারলে সাধারণ মানুষের মনে এই সব ভিডিও অনেকটা কাজ করতে পারে।
আমাদের বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম ভীরু। ৯০% মুসলিম উম্মাহর দেশ হিসেবে ইসলাম ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে অহরহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে মূল দুই ধারায় রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই দুই ধারার মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি,
এবং তার বিপরীত শক্তি। আজকের প্রজন্মের কাছে এমন কিছু ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যেমন অনেকে বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নাকি মুক্তিযুদ্ধের ধারে কাছে ও ছিলেন না। তিনি নাকি ঐ সময় পাকিস্তানের মধ্যে আরাম আয়েশ করছিলেন! আসলে এই কথা যারা বলেন তারা তো মুক্তি যুদ্ধের কাহিনী জানে না। মুক্তিযুদ্ধ কি কারণে হয়েছিল, কার নেতৃত্বে হয়েছিল, কী ভাবে এই রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে দীর্ঘ নয় মাস পরে সারেন্ডার করিয়েছেন তার কিছুই জানে না। যে এই কাহিনী গুলো সত্যিই জানেন তিনি কখনো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তির সাথে থাকতে পারেন না। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের অর্ধেক সময়ের ও বেশি বাঙালি ও বাঙালির অধিকার আদায়ে সংগ্ৰাম করতে গিয়ে গুলির মুখে পড়েছিলেন, জেল খেটেছেন, ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়ে ও যখন তিনি পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাত থেকে ক্ষমতা পান নি, পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তরে বিভিন্ন বাহনা শুরু করে তখন তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ১৯৭১ সালে সেই ঐতিহাসিক ০৭ ইং মার্চের ভাষণ দিয়ে তত্কালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষ কে একত্রিত করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তি যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ঐ একই মাসের ২৫ মার্চের সেই কালো রাতে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু কে হানাদার বাহিনী গ্রেফতার করার পূর্বে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র টি ইংরেজিতে লিখে যান। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথমে এম এ হান্নান এই ঘোষণা পত্র কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রচার করেন। পরবর্তীতে জিয়া ও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঐ ঘোষণার পুনঃ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
যে ব্যক্তি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবনের অর্ধেক সময়ের ও বেশি জেল জুলুম নির্যাতন সব সহ্য করে পৃথিবীর বুকে একটি লাল সবুজের পতাকা এনে স্বাধীন ও সার্বভৌম করেছেন সেই জাতির পিতা কে যদি বর্তমান প্রজন্মের কাছে কিছু ই করেন নি বলে গুজব ছড়ানো হয়, তাহলে সহ্য করার মতো নয়।
আজকে সকল সত্যি গুলো যেন খাঁচায় বন্দী।”জয় বাংলা’ হলো বাংলাদেশের জাতীয় শ্লোগান অথচ একমাত্র আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাড়া অন্য কোন দল জয় বাংলা শ্লোগান দেয় না।
আজকে বিএনপি জামায়াতের মিথ্যাচারের বেড়াজালে সাধারণ মানুষ ধোঁকা খাচ্ছে।
আজকে বাংলাদেশের সকল ডান বাম মিলে নাম সর্বস্ব কতো গুলো দল নিয়ে বিএনপি ও তার দোসররা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মাঠে ঘাটে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে যে ভাবে অশ্লীল ভাষায় খুনি হাসিনা, ভোট চোর হাসিনা, দেশকে সর্বনাশ কারী হাসিনা, বলে বুক ফুলিয়ে সভা-সমাবেশ মিটিং মিছিল করে যাচ্ছেন তাদের কাছে বলি যদি দেশে গনতন্ত্র না থাকে তাহলে এই ভাবে বুক ফুলিয়ে উম্মুক্ত মঞ্চে একজন সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে এই ভাবে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে নিজের ইচ্ছে মত বলে যাচ্ছেন।
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্নঃ
১. দেশের মধ্যে এমন কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যার জন্য আপনাদের আন্দোলন করতে হচ্ছে ?
২. আপনারা ও বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিলেন , আপনাদের শাসনামলে দেশের জনগণকে কী দিতে পেরেছেন?
৩. আপনারা বা আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের আগে কি ছিলেন?
৪ . ১৯৭৫ সালে যখন ভোর রাতে কর্নেল রশিদ, ফারুক গং রা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের নির্মম ভাবে হত্যা করেছিলেন তখন জেনারেল জিয়াউর রহমান একজন উপ সেনা প্রধান হিসেবে এ সময় কি করছিলেন এবং কোথায় ছিলেন?
৫. কর্নেল রশিদ, ফারুক যখন বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করার জন্য জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বলেছিলেন তখন কেন তিনি একজন সেনা উপ প্রধান হিসেবে এটিকে বারন না করে বলেছিলেন আমি একজন সিনিয়র অফিসার,এটি সরাসরি আমি করতে পারবো না বরং তোমরা জুনিয়র অফিসার তোমরা চাইলে গো এহেড এই কথা বলেছিলেন?
৬. বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করে যখন তারা জিয়াকে জানিয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান ইছ নো মোর, তখন জিয়া কেন একজন রাষ্ট্রপতি হত্যার বিষয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে না গিয়ে বরং বলেছিলেন “So what we have vice President” এই কথা বলেছিলেন কেন?
৭. উপরোক্ত ধারা ৫, ৬, এর আলোকে জিয়াউর রহমানকে কেন বঙ্গবন্ধুর ঠান্ডা মাথার খুনী বলা যাবে না?
৮ . জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হয়ে নিজের ইচ্ছায় একটি দল গঠন করে কেন বিমান বাহিনী ও সামরিক বাহিনীর ৪১ জনের মত অফিসার কে হত্যা করেছিলেন?
৯. বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান কেন ইনডেমনিটি নামক কালো আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে না পারার ব্যবস্থা করেছিলেন?
১০. বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সকল হত্যাকারীদের কেন জিয়া সব কিছু জেনে ও তাদের বিচার না করে বরং তাদের পুরষ্কার হিসেবে এক একজনকে দেশের বাইরে চলে যেতে দিয়েছিলেন?
১১. ২০০৪ সালে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সভায় পর পর এতো গুলো গ্রেনেট মেরে নেত্রীকে হত্যা করার জন্য আপনাদের তারেক জিয়া লুত্ফুর রহমান বাবর কে নিয়ে হাওয়া ভবনে বসে মুফতি হান্নানের মাধ্যমে মাষ্টার প্ল্যান করেছিলেন?
এছাড়াও আমার আরো অনেক কিছু জানার আছে আপনাদের কার্যক্রম নিয়ে।
আজকে বাংলাদেশকে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন আপনাদের ফেলে আসা তলাবিহীন ঝুড়ি বলা একটি দেশ কে বিশ্বের বুকে একটি অন্যতম উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করেছেন তখন ঠিক সেই মুহূর্তে আপনারা দেশের মধ্যে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দেশের অগ্ৰগতির বাঁধা সৃষ্টি করতেছেন। আপনাদের আন্দোলনের তো তেমন কোন ইস্যু ছিল না। এখন দেশের মধ্যে এমন কি সমস্যা যার জন্য আপনারা আন্দোলনের নামে দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন।
আপনারা আন্দোলন করছেন বিদ্যুৎ আর দ্রব্য মূল্য নিয়ে। বর্তমানে বিশ্বের কোন দেশে এই জ্বালানি খাতে সমস্যা হচ্ছে না। এটি একটি গ্লোবাল সমস্যা। মানুষ কে বোকা বানিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কেন এই সব বাজে ইস্যু গুলো নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছেন।
বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তা নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া কোন উপায়ে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই। আপনারা আন্দোলন করছেন আপনাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে। কারণ আপনারা ভালো ভাবে জানেন বিএনপি একমাত্র খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য কেউ এই দল চালাতে পারবেন না। আপনারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য এই পর্যন্ত কী করতে পেরেছিলেন? আপনারা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় কিছু মানুষ ধরুন লাখ খানেক হবে সেই জন স্রোত দেখে যদি মনে করেন বাংলাদেশের সতের কুটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তাহলে আমি বলবো আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করেছেন।
বাংলাদেশের সতের কুটি জনগণের মধ্যে ১১/১২ কুটির মতো ভোটার। এই সব ভোটারদের মন জয় করতে না পারলে এই আন্দোলনের কোনো মূল্য নেই। বিগত তের চৌদ্দ বছরের মধ্যে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশকে যেখানে নিয়েছেন আমি মনে করি শুধু মাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধ শক্তি ছাড়া বাকি সব ভোটারদের মন জয় ইতিমধ্যেই তিনি করে নিয়েছেন। আর যদি সুষ্ট নির্বাচন করে বাংলাদেশের জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার এই সব অর্জনের কোন মূল্যায়ন না করেন, তাহলে নির্বাচনের পর এই দেশ আবার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সব শেষ হয়ে সত্যি শ্রীলংকার মত, হয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশের জনগণ যদি শেখ হাসিনাকে না চায় তাহলে সমস্যা নাই তিনি আগামীর বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বসবাস করবেন।
কথায় বলে না নিজের বগল গন্ধ কিনা আগে দেখে তারপর আর একজনের বগলের গন্ধ নিয়ে কথা বললেই সেটি পারফেক্ট হয়।
আপনাদের শাসনামলে দেশের মানুষ বিদ্যুৎ চাইলে সরাসরি শুট করে মেরে ফেলেছেন, সার চাইলে ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলেছেন,
অপারেশন ক্লিন হার্ট নামে সাধারণ মানুষকে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের যে ভাবে স্টিম রোল চালিয়েছেন সে গুলো কি ভুলে গেছেন? সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা পর্যন্ত আপনাদের সরকারের এই স্টিম রোল থেকে বাদ পড়েনি। মতিয়া চৌধুরী, মোঃ নাসিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আরো অনেক নেতা কর্মীদের রাস্তায় পিটে টেনে হেঁচড়ে কাপড় পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলেছিলেন মারতে মারতে। সোহেল তাজের মতো লোকেকে মারতে মারতে রাস্তায় লুটিয়ে দিয়েছিলেন এই গুলো কি ভুলে গিয়েছেন?
আজকে দৈবক্রমে ভোলায় ও নারায়ণগঞ্জে মাত্র তিন জন লোকের মৃত্যু নিয়ে যে অবস্থা শুরু করে দিয়েছেন দেশের মধ্যে।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের নির্মম ভাবে হত্যা করেছেন, বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন, হাজার হাজার আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আপনাদের সময়ে হত্যা, গুম করেছেন যাদের এখনো পর্যন্ত কোন হদিস নেই।
এই গুম হত্যার প্রচলন তো আপনারাই করেছেন, বর্তমানে এর ই ধারাবাহিকতা হচ্ছে। এই সব কাজের জন্য আপনারাই দায়ী।
আপনারা সব সময় বলেন পুলিশ ছাড়া মাঠে যাওয়ার জন্য। আমি প্রশ্ন করি আপনাদের, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন বিরোধী দলের সভা সমাবেশে আপনারা কি পুলিশ মোতায়েন করতেন না? বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে কোন সরকারের শাসনামলে এই ধরনের সভা-সমাবেশ মিটিং মিছিল এ পুলিশ ছিল না। একটি যদি দেখাতে পারেন আমি জীবনে আর রাজনীতি করবো না। পুলিশ যখন যেই সরকার আসে সেই সরকারের অধীনে ই কাজ করে। পুলিশের কাজ দেশের মধ্যে সৃষ্ট নৈরাজ্য দমন ও দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা। পুলিশ তো অবশ্যই থাকবে কারণ পুলিশের কাজ ই সকল সভা-সমাবেশ মিটিং মিছিল এ থেকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা।
আপনাদের শাসনামলে পুলিশ কতগুলো নিরহ লোক কে হত্যা করেছেন তা কি ভুলে গেছেন?
পরিশেষে আমার পরামর্শ, আসুন নির্বাচন করে বাংলাদেশের জনগণ যাদের ম্যানডেট দিবেন তাঁরাই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবেন এই বিশ্বাসে করে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমির উন্নয়নে কাজ করি।
এই প্রিয় মাতৃভূমির শান মান সব রক্ষা করি। মনে রাখুন দলের চেয়ে দেশ বড়। এই দেশ সতের কুটি জনগণের। আসুন সকলে মিলে এই প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি শান্তির আবাস ভূমি গড়ে তুলি। ভালো থাকুন আর ভালো রাখুন। ধন্যবাদ।