
হায় হায় পার্টি হল বিএনপি, যারা কখোনো কোনো কিছুতেই তুষ্ট হয় না । কোনো না ভাবেই তাদের সহজ স্বাভাবিক ব্যাপারকে ঘোলাটে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নিতেই হবে। নির্বাচন নিয়ে চলছে তাদের যত তালবাহানা অবশ্য এসব অনেক বছর থেকেই চলছে। তাদের মনোনীত প্রার্থী জিতলে নির্বাচন সুষ্ঠ হয় আর না জিতলে নির্বাচন কারচুপি হয়েছে এই মানসিকতা বিরাজ করে বিএনপির মধ্যে । জোর করে ক্ষমতা চায় তারা, তাই দেশের মধ্যে আন্দোলন, দাঙ্গা – হাঙ্গামা করেই যাচ্ছে। অথচ ইসির সাথে সংলাপে বসবে না ,নির্বাচনে যাবে না কিন্তু ক্ষমতা চাই ই চাই তাদের। এভাবে কি ক্ষমতায় আসা যায় বিএনপি???
গত ১২ জুলাই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে অভিহিত করেছেন।
এ বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমদু চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
বিদেশে এ ধরনের বৈঠক বা সাক্ষাৎকে রুটিন কর্মসূচি হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এ নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলতে থাকে। বাংলাদেশের জনগন বিএনপির নেতাদের বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়াকে ভালো চোখে দেখেননি। কারণ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অতীত কুকর্ম মানুষ ভুলেনি।
এদিকে পরপর তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় হারের পর, ২০২৩ সালের নির্বাচনে হারের ভয়ে অংশগ্রহণ করতেও ভয় পাচ্ছে বিএনপি। বিগত সময়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে সহিংসতা, জান-মালের ক্ষতি কোনও চেষ্টাতেই সফল হতে পারেনি বিএনপি। তাই অনেকটা ‘হতাশ’ এই দলটি আর আন্দোলনের পথে না হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের শেষের দিকে বা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার জন্য জাতীয় সংসদে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগের বিধান রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ পাস করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি করেছিলেন যার মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে । নিরপেক্ষভাবে এই সিইসি গঠন নিয়েও বিএনপি প্রথম থেকে বিভিন্ন অপপ্রচার করে আসছে গণমাধ্যমে। মজার বিষয় হচ্ছে বর্তমানে যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তার নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বাংলাদেশের মানুষ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে জানেন। এই নির্বাচন কমিশনও মানতে চাচ্ছে না বিএনপি।
রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করার আগে বাংলাদেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করেন। সেই সংলাপও প্রত্যাখ্যান করেছিল বিএনপি। সার্চ কমিটিতেও নাম প্রস্তাব করেনি দলটি। বর্তমানে সব রাজনৈতিক দল আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিলেও বিএনপির তেমন কোন প্রস্তুতি চোখে পড়ছে না। সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন বিএনপি কি তাহলে নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে?
বিএনপির মহাসচিব গণমাধ্যম অনেক কিছু বললেও তিনি জানেন বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে সাধারণ জনগনেরও সমর্থন নেই বিএনপির প্রতি। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০০২ সালে বাংলাদশে সর্বোচ্চ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছিল। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা নারী ধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের জায়গা জমি দখল, হত্যাসহ নানা অপকর্মে মেতে ওঠে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ধারণা করেছে, সাধারণ জনগণ তাদের ভোট দেবে না। যদি নির্বাচনে গিয়ে হেরে যায় তাহলে অনেক বড় ব্যবধানে হারবে। যার ফলে সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন দলটি কালক্রমে বিলীন হয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে।তাই তারা নির্বাচনে না যেতে বিভিন্ন কৌশলের অবলম্বন করছে।