দেশ-বিরোধী চক্রান্তধর্ম ও রাজনীতিবিএনপি-জামাতসমসাময়িকস্যেকুলারিজম

রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামঃ নারী সমাজের ওপড় এর প্রভাব।

বাংলাদেশকে ইসলামীকরণের অপচেষ্টা বহুদিনের। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে ইসলামীকরণের ফলে যারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তারাই ইসলামীকরণের অগ্রসৈনিক!

#রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশে শতভাগ ইসলামি শাসন জারী হয়, তাহলে পুরুষের কোন ক্ষতিই হবে না বরং পুরুষরা আরও বেশী সমৃদ্ধ হবে।
যেমনঃ
১। ইচ্ছে মতো তালাক দেয়া।
২। ইচ্ছে মতো বিয়ে করা।
৩। ১২/১৩ বছরের মেয়ে বিয়ে করা।
৪। যেহেতু নারীদের চাকরি নিষিদ্ধ তাই শতভাগ পুরুষ চাকরি পাবে।
৫। যেহেতু নারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ তাই শতভাগ পুরুষ নেতা হবে।
৬। ধর্ষন নিরোধ আইন থাকবে না।
৭। তালাক, যৌতুক আইন থাকবে না।
#নারী পক্ষঃ
১। রান্নাঘর আর স্বামীর বিছানাই হবে নারীর একমাত্র ঠিকানা।
২। অর্থনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ পুরুষ নির্ভর হতে হবে।
৩। যেহেতু নারীদের পড়াশোনাও বন্ধ তাই নারী ডাক্তারও থাকবে না আর তাই ভরসা রাখতে হবে গায়েবী চিকিৎসায়।
#ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যদি, খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা সরকার রাষ্ট্র ধর্ম, শুক্রবার ছুটি, সংবিধানে ইসলামি শব্দ ব্যবহার, হিন্দু/খ্রিস্টান/নাস্তিকদের কল্লাকাটা ইত্যাদি জিইয়ে রাখেন তাহলে অবশেষে আমার স্ত্রী/কণ্যাদের চেয়ে খালেদা-হাসিনার ক্ষতিই বেশি হবে।
কারণঃ
১। যেহেতু নারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ তাই খালেদা-হাসিনা-রওশন/বিদিশা এবং অন্যান্য নারী নেত্রীরা, তাদের বোন, কণ্যা, নাতনী এরা কেউই আর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পাড়বে না।
২। যেহেতু নারীদের চাকরি নিষিদ্ধ তাই খালেদা-হাসিনা-রওশন/বিদিশা এবং অন্যান্য নারী নেত্রীদের বোন, কণ্যা, নাতনী এরা কেউই আর বাংলাদেশে চাকরি করতে পাড়বে না।
#অতএব, সময় থাকতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। নিজেদের ও নিজনিজ ভবিষ্যত প্রজন্মের কণ্যাদের রাজনৈতিক ও চাকরির ক্যারিয়ার রক্ষা করুন।
বাংলাদেশকে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা সহ সংবিধান এবং ছুটি ছাটা১৯৭২ এর অনুরূপ করুন।
বিদ্রঃ এতে ব্যার্থ হলে পুরুষের কিছুই যায় আসবে না, ক্ষতি হবে নারী সমাজেরই।
 
[বাংলাদেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র হলে-  আমাদের পুরুষদের নামাজ পড়তে হবে পড়বো, রোজা রাখতে হবে রাখবো, যাকাত দিতে হবে দিবো, হজ্ব করতে হবে করবো। কিন্তু নারীদের পড়াশোনা ছাড়তে হবে, ছাড়বেন? রাজনীতি ও চাকরী ছাড়তে হবে, ছাড়বেন? সতীন মানতে হব্‌ মানবেন? তালাক মানতে হবে,মানবেন? শিশু বয়সেই কণ্যা বিয়ে দিতে হবে, দিবেন? উত্তর যদি হয় – না। তবে, হে বঙ্গ জননীরা এখনই  রাষ্ট্র ধর্ম প্রতিরোধ করুন।]
 
POLITICIAN SETTLED AT: KISHOREGONJ. www.sheikhjamal.wordpress.com

আপনার রিএকশন কি?

একই রকম আরও কিছু আর্টিকেল

এদের (বিএনপি)নেত্রীরশাসনামল: মানুষকে টুকরো করে কেটে রাস্তায় ফেলে রাখতো যুবদল নেতারা

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যণ্ত ক্ষমতায় থাকার সময় দেশজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা। হাওয়া ভবন থেকে তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশনায় ঢাকা শহরকে চারভাগে ভাগ করে সন্ত্রাসীদের তত্ত্বাবধান করতেন চার এমপি মির্জা আব্বাস, সালাউদ্দিন, নাসিরুদ্দিন পিন্টু এবং এস এ খালেক।

লিখেছেন Safkat Hasan Pial
101
52

এদের (বিএনপি জামায়াত)অপশাসন: বগুড়ায় এক সড়কের কাজ থেকেই শত কোটি লোপাট করে খাম্বাস্টার ও  লালুর গং

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র এবং বিএনপির তৎকালীন জ্যেষ্ঠ মহাসচিব তারেক রহমানের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলা হয়, অথচ বছরের পর বছর ধরে এই শহীদ মিনারেই জেলা শহরের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল। এমনকি শহরের নান্দনিকতা বৃদ্ধির নামে বিভিন্ন ইংরেজি…

লিখেছেন Safkat Hasan Pial
101
52

২০০১: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ভোট করতে তার হত্যাচেষ্টাকারী জঙ্গিকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এদের (বিএনপি)নেত্রী

জঙ্গিবাদের কারণে নিষিদ্ধ হরকতুল জিহাদের নেতা মুফতি সহিদুল ইসলামকে ২০০১ সালে শেখ হাসিনাকে বিরুদ্ধে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। এরপর সারা দেশ থেকে তালেবানপন্থী মাদ্রাসা ছাত্রদের নড়াইল নিয়ে যায় সহিদুল। সেসময় তারা সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে প্রকাশ্যে অশালীন ও…

লিখেছেন Safkat Hasan Pial
101
52

প্রতিভায় পরিপূর্ন বিএনপি – বিএনপি গট ট্যালেন্ট

এই মুহুর্তে বিরোধী দলের ভূমিকায় ধার করে থাকা দল বিএনপি-তে প্রতিভাধর মানুষের সংখ্যা সবসময়ের তুলনায় ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এতদিন মেধাশূন্য একটা দল হিসেবেই মানুষ বিএনপিকে অপবাদ দিল কিন্তু সেইদিন গত হয়ে গেছে। আর বিএনপির এসব প্রতিভাধরদের নিয়েই হালকা লিস্ট পোস্ট।