
এখন সময়টা খুব একটা ভাল না বিশেষ করে ভার্চুয়াল জগতে। বেশ অনেক বছর ধরেই সামাজিক মাধ্যমগুলয়তে আওয়ামীপন্থাদের আওয়াজ হরণ করা হচ্ছে নানা উপায়ে। কখনও কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নামক হাস্যকর নিয়ম কানুনে আবার কখন স্প্যাম-রিপোর্টিং বা ভুয়া কপিরাইট। সবচেয়ে বেশ সমস্যায় পরে সবাই কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড হতে – পোস্ট বা কমেন্টের কারণে। আওয়ামীপন্থী এবং দেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ হলে ধরে নিতে পারেন আজ বা কাল আপনাকে ফেসবুকে থামিয়ে দেয়া হবেই – কোন না কোন কারণে। আপনাকে যদি কেউ কমেন্টে গালিও দেয় আর সেই গালির জবাবও দেন, উল্টো আপনাকেই রেস্ট্রিকশন দেয়া হবে। এগুলো অনেক বছর ধরেই হয়ে আসছে। আর এসব ছাড়াও স্প্যামারগ্রুপগুলো তো আছেই।
তবে কিভাবে এই প্রকট সমস্যা থেকে আওয়ামী সাইবার যোদ্ধারা মুক্তি পেতে পারেন? ওয়েল, কোন ধরনের মিরাকল বা সুপার-পাওয়ার নেই এই ব্যাপারে। ফেসবুকের কাছ থেকেও তেমন একটা সাপোর্ট পাবেন না। বাংলাদেশকে ফেসবুক তেমন একটা পাত্তা দেয় না, তাই হাজার সাপোর্ট ইমেইল করেও লাভ নেই। প্রতি ১০০ জনে হয়তো ১ জন সাপোর্ট পাবেন। তবে এই পোস্টে কিছু ট্রিক্স শিখিয়ে দেয়া হবে আপনাদের, যেগুলো ফলো করে হয়তো একাইন্ট বা পেজ বাঁচাতে পারেন। কারণ যুদ্ধ করতে হলে একাউণ্ট থাকাটা জরুরী। আর যদি সেটাই না থাকে, মাসের পর মাস আইডি লক হয়ে থাকে, তাহলে কিভাবে কি করবেন? নীচের পয়েন্ট গুলয় মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কোন কিছু না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
- কখনও সরাসরি কাউকে গালি দিবেন না। হোক সেটা পোস্ট বা কমেন্টে। ইংরেজি বা বাংলায় – কোনভাবেই না। জবাব দিতে হলে একটা ছবি দিয়ে কমেন্টে দিবেন। তাও টেক্সট লিখে কাউকেই গালি দিবেন না। সে যত বড় গান্ডুই হবে হোক। কেউ গালি দিলে সেই গালিটিতে শুধু একবার রিপোর্ট করে চুপচাপ বসে থাকবেন। বার বার রিপোর্ট করবেন না। একবারই যথেষ্ট।
- ধরেন আপনি কিছু একটা পোস্ট করলেন, সেই পোস্টের প্রথম ৩টি কমেন্ট আপনিই দিয়ে দিবেন – একটা ছবি বা কমেন্ট যা খুশী কিন্তু সেই পোস্টের প্রথম ৩ টি কমেন্টই যেন আপনার হয়। এতে করে সেই কমেন্টগুলয় বেশী হাইলাইট হবে আর আপনার চোখেও অন্যদের গালিগালাজ কমেন্ট চোখে পড়বে না। আর এসব চোখে না পড়লে উত্তর দেবারও প্রয়োজন মনে করবেন না।
- কোন পোস্ট দেয়ার পর সেই পোস্টের কমেন্টে মানুষকে ফাইট করতে দিন, কিন্তু নিজে গিয়ে জবাব দিবেন না। মানুষকে খেলতে দিন। শত শত গালি আসলেই কমেন্ট ডিলিট করবেন না। রিপোর্ট করবেন কিন্তু কমেন্টটা ডিলিট বা একাউন্ট ব্যান করবেন না। ব্যান করলে ৬ ঘণ্টা পর করবেন, আগে তো পোস্টটাকে উঠতে দেন। গান্ডুদের এভাবে ব্যবহার করলেই বেস্ট। এরাই আপনার পোস্ট উপরে তুলে দিবে।
- কোন ইমেজ পোস্ট করলে সেই ইমেজে যেন অনেক বেশী টেক্সট না থাকে। বেশি টেক্সট আছে এমন ছবি প্রায় সময় ফ্ল্যাগ হয়ে যায় আর ফিডে পৌঁছায় না।
- খুব বেশী টেক্সট পোস্ট করবেন না। ভিডিও-ছবি বা লিঙ্ক হিসেব করে পোস্ট করবেন আর চেষ্টা করবেন দিনের একটা নির্দিস্ট সময়ে পোস্ট করছেন প্রতিদিন। এতে করে এলগরিদম আপনার পেজ বা প্রোফাইলকে একটা sync-এ নিয়ে আসবে।
- যেকোন পোস্টেই কমেন্ট করার সময় এমনকি নিজের ওয়ালেও খুব সাবধানে কমেন্ট করবেন। মনে রাখবেন, বেশীরভাগ সময়ে আপনার প্রোফাইলে ছুপা গান্ডুরাই আপনাকে রিপোর্ট করবে। আর ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে কেউ রিপোর্ট করলে পোস্ট বা কমেন্ট উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশী।
- কপিরাইট না খাওয়ার জন্য বুঝে শুনে অন্যের ভিডিও আপলোড করবেন। আরেকজনের ভিডিও নিজের পেজে বা প্রোফাইলে আপলোড করা মানেই সেই পোস্ট উড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পর পর ৩টা কপিরাইট স্ট্রাইক পেলেই আপনার পেজ বা প্রোফাইল চলে যাবে এবং এভাবে গেলে ফেরত আসার কোন সম্ভাবনা নেই। নাহিদরেইন্স বাঁশেরকেল্লার সব পেজগুলোকে এভাবেই চাঁদে পাঠিয়েছে সাথে ছিল কিছু ম্যানুয়াল ওয়ার্ক।
মোদ্দা কথা, ফেসবুক ব্যবহার করার সময় আপনাকে ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে। আপনার COOL হারালে চলবে না। ঠাণ্ডা মাথায় মেটাফোর ব্যবহার করে কমেন্ট করবেন বা পোস্ট দিবেন। কাউকে যদি “কুত্তা” বলে গালি দেন তাহলে অবশ্যই আপনার সেই কমেন্ট উড়ে যাবে কিন্তু তার বদলে “পায়ুনুল” বা “পায়ুশ্রমিক” বলে গালি দেন সেই ব্যাপারে ফেসবুকের কিছুই করার নাই। আর এগুলো আবার গান্ডুদের গায়েও লাগে বেশী।